
স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের এই দিনে বাংলাদেশের জনগণ ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্য ভোট দিয়েছিল। এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন, যারা তাদের নিজস্ব কণ্ঠস্বর এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করে আসছে। আজ, স্বাধীনতা দিবস আমাদের দেশের অর্জনগুলি উদযাপন করার এবং এটিকে একটি সফল গণতন্ত্রে পরিণত করার জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা স্মরণ করার একটি দিন।
1971 সালের 15 আগস্ট বাংলাদেশ সরকার ভারত থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এই দিনটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত করা হয় অনুষ্ঠানটি স্মরণ করার জন্য এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্মরণ করার জন্য যারা তাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন।
বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত একটি স্বাধীন দেশ। এটির একটি বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং ইতিহাস রয়েছে এবং এটি বহু শতাব্দী ধরে এই অঞ্চলের একটি অংশ। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা জরুরি। এই দিনে বাংলাদেশের মানুষ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা থেকে তাদের দেশের স্বাধীনতাকে স্মরণ করবে। বিশ্বের অনেক দেশেও এই দিনটি জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং পূর্ব এশিয়ায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের যুগের সূচনার সাথে মিলে যায়। যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হয়েছিল, যখন এই অঞ্চল থেকে ব্রিটিশ বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছিল এবং জাপান এই অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছিল।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য যুদ্ধোত্তর আলোচনা ছিল 1945 সালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাপানের বিজয়ের পর একটি স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্র সম্পর্কে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়। ঔপনিবেশিক প্রশাসকরা যারা জাপানের বার্মা ও ভারত দখলের তত্ত্বাবধান করেছিলেন তারা এমন একটি সমাধানের দালালি করার চেষ্টা করেছিলেন যা উভয় দেশকে একটি অংশ হিসাবে রাখতে পারে। জাপান কিন্তু ব্যর্থ।
পরবর্তীতে, বার্মা ভারতের একটি সংরক্ষিত রাজ্যে পরিণত হয় এবং বাংলাদেশ একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। কারণ ভারত তখনও ব্রিটিশ প্যারামাউন্টসি দ্বারা শাসিত ছিল, ভারতের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং নতুন সরকারকে সামরিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব ছিল না।
এই ঘটনাটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি সেই এলাকায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার অবসানকে চিহ্নিত করে। বহু শতাব্দী ধরে দখলদারিত্ব ও নিয়ন্ত্রণের পর, স্বাধীনতা মানে বাংলাদেশিরা অবশেষে তাদের জীবনযাপন করতে এবং তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এছাড়াও, এই দিনটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা থেকে দেশটির মুক্তির স্মরণে একটি জাতীয় ছুটির দিন হিসাবেও পালিত হয়।