
আপনি কি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করছেন? অথবা আপনি কি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে উন্নত মানের ট্রেন খুঁজছেন? তাহলে আমি আপনাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তথা বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর একটি ট্রেনের সন্ধান দিচ্ছি। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বিলাসবহুল ট্রেন।আজকে এই নিবন্ধে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকিট মূল্য তালিকা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি সোনার বাংলা এক্সপ্রেস এর ভ্রমন করতে চান তাহলে এই নিবন্ধটি পুরোটি ভাল করে পড়ুন। আশা করি এই নিবন্ধটি পরে আপনি একটু হলেও উপকৃত হবেন।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারি একটি বিলাসবহুল বিরতিহীন ট্রেন। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন নং ৭৮৭ এবং ৭৮৮। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস বাংলাদেশ অন্যতম একটি বিরতিহীন এবং বিলাসবহুল ট্রেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যে কয়েকটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে তার মধ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, এবং সোনার বাংলা এক্সপ্রেস অন্যতম।সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটির কিছু দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা এই ট্রেনে ভ্রমণরত যাত্রীদের প্রশান্তি দিয়ে থাকে।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি তে দুইটি এসি স্লিপার কোচ, তিনটি এসি চেয়ার কোচ, তিনটি ডেকোরেটিভ চেয়ার কোচ, তিনটি ফুট গাড়ি, এবং তিনটি পাওয়ার গাড়ি রয়েছে। এখানে একটি খাবার ক্যান্টিন, একটি প্রার্থনা গার, ও য়াশরুম, উন্নত মানের টয়লেট এবং ভালো সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। তাই এই ট্রেনে ভ্রমণ করলে আপনি খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন বলা যেতে পারে।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী 2023
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে নিয়মিত চলাচল করে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল সাতটায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং ১২ টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রামের পৌঁছায়।একই ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিকাল ৫ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং রাত ১০ টা ১০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছায়। ট্রেনটি বিরতিহীন হওয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে শুধুমাত্র ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে বিরতি দেয়। পথে আর কোথাও বিরতি দেয় না।
ঢাকা চট্টগ্রাম রোড সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভ্রমন করতে সময় লাগে ৫ ঘন্টা ৪০ মিনিট। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে দুইদিন ছুটি থাকে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছুটির দিন বুধ ও মঙ্গলবার। সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় ছুটির দিন বুধবার। এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় ছুটির দিন মঙ্গলবার।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরতিহীন হওয়া রাস্তায় খুব কম বিরতি দিয়ে।সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি শুধুমাত্র ঢাকা হজরত সাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন বিরতি দিয়ে থাকে। এটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার সময় সকাল ৭ টা ২৭ মিনিটে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে বিরতি দিয়ে থাকে। অপরদিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার সময় ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে রাত ৯ টা ৩৭ মিনিটে বিরতি দিয়ে থাকে।এ ছাড়া আর কোথাও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটির বিরতি স্টেশন নেই।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি বিলাসবহুল বিরতিহীন ট্রেন।যদিও এটি বাংলাদেশের বিলাসবহুল এবং বিরতিহীন ট্রেন তথাপি সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি তে ভ্রমণ করলে টিকিটের মূল্য খুব বেশি পরিশোধ করতে হয় না। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট তিন ধরনের পাওয়া যায় । আসনগুলো হলো শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা, এসি সিট। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন চেয়ার ভ্রমন করতে হলে টিকেটের মূল্য পরিশোধ করতে হবে ৬০০ টাকা।
অপরদিকে স্নিগ্ধা চেয়ারকোচে ভ্রমণ করতে হলে আপনাকে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে হবে ১০০০ টাকা।এবং এসি সিটে ভ্রমণ করতে হলে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে হবে এগারোশত ১১০০ টাকা। আমি আপনাদের সুবিধার্থে একটি টেবিল সংযুক্ত করলাম। তবে করোনাভাইরাস ও নানান কারণে টিকিটের মূল্য কম বেশি হতে পারে।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার | ৬০০ টাকা |
স্নিগ্ধা | ১০০০ টাকা |
এসি সিট | ১১০০ টাকা |
উপরের আলোচনা থেকে আমরা আশা করছি আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।আমরা এই ওয়েবসাইটে আরো অনেক ট্রেন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, আপনারা চাইলে অন্যান্য ট্রেন সম্পর্কেও জানতে পারেন। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভ্রমণ করে নিশ্চয় আপনি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন । আপনার যাত্রা শুভ হোক।