ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী, মূল্য তালিকা এবং অনলাইন টিকিট
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩! ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সবচেয়ে জনবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ দুটি শহর। এই দুটি শহর একটি রেলওয়ে নেটওয়ার্ক দ্বারা সংযুক্ত, এবং ট্রেনে ভ্রমণ দেশের যাত্রীদের জন্য উপলব্ধ সেরা বিকল্পগুলির মধ্যে একটি। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা 2023 সালের জন্য ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী, মূল্য তালিকা এবং আপনি কীভাবে অনলাইনে টিকিট কিনতে পারবেন তা নিয়ে আলোচনা করব।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী চার ধরনের ট্রেন সার্ভিস রয়েছে, যেগুলো হল সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, তূর্ণা এক্সপ্রেস এবং সোনার বাংলা এক্সপ্রেস।
1. সুবর্ণ এক্সপ্রেস হল একটি বিলাসবহুল এবং আরামদায়ক ট্রেন যা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব প্রায় 5 ঘন্টায় অতিক্রম করে। ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ৭টায় ছাড়ে এবং চট্টগ্রামে পৌঁছায় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে।
মহানগর এক্সপ্রেস হল দ্রুততম ট্রেন এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে যাতায়াত করতে প্রায় 4 ঘন্টা 30 মিনিট সময় লাগে। ট্রেনটি ঢাকা থেকে বিকাল ৩:০০ টায় ছাড়ে এবং চট্টগ্রামে পৌঁছায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
তূর্ণা এক্সপ্রেস প্রতিদিন দুবার চলে এবং ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যে দূরত্ব অতিক্রম করতে প্রায় 7 ঘন্টা সময় নেয়। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস আরেকটি ট্রেন যা এই দুই শহরের মধ্যে যাত্রা করে এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে প্রায় 7 ঘন্টা সময় লাগে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের টিকিটের দাম ট্রেনের ক্লাস এবং বসার ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, সুবর্ণ এক্সপ্রেসে একটি ফার্স্ট-ক্লাস এসি সিটের দাম প্রায় 1,200 টাকা, একই ট্রেনে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার্থ প্রায় 2,200 টাকা। অন্যান্য ট্রেনের দামও একই রকম। আপনি যদি নন-এসি সিট বেছে নেন, এই একই ট্রেনে টিকিটের দাম অনেক সাশ্রয়ী হবে।
আপনি যদি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের টিকিট কিনতে চান তবে আপনি অনলাইনে টিকিট কিনতে পারেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে অনলাইনে টিকিট কেনার প্রক্রিয়া চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আপনাকে যা করতে হবে তা হল বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার টিকিট বুক করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রবেশ করান। আপনি ‘একটিকেট’, ‘বিডি রেলওয়ে টিকিট’ বা ‘শোহোজ’-এর মতো তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের মাধ্যমেও অনলাইনে আপনার টিকিট কিনতে পারেন।
অনলাইন টিকিট বুকিং সিস্টেমের মাধ্যমে, যাত্রীরা এখন সহজেই তাদের মোবাইল ফোনে তাদের টিকিট পেতে পারে এবং স্টেশনে দীর্ঘ সারি এড়াতে পারে, বিশেষ করে ব্যস্ত উৎসবের মরসুমে যখন ট্রেনের টিকিটের চাহিদা আকাশচুম্বী হয়। ট্রেন ভ্রমণের আরেকটি অপরিহার্য দিক হল যাত্রীদের নিরাপত্তা। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনে থাকা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছে।
প্রতিটি স্টেশনে নিরাপত্তা কর্মীরা উপস্থিত রয়েছে এবং রেলওয়ে ট্র্যাকের পাশে কৌশলগত পয়েন্টগুলিতে নজরদারি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। অধিকন্তু, বোর্ডে থাকা যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রার জন্য কোভিড-১৯ নির্দেশিকা অনুযায়ী মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো যথাযথ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করতে উৎসাহিত করা হয়।
ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যে যাতায়াতের অন্যতম নিরাপদ এবং সুবিধাজনক উপায় হল ট্রেনে ভ্রমণ। এই ব্লগ পোস্টে উল্লিখিত চারটি ট্রেন, তাদের সময়সূচী এবং দাম সহ, যাত্রীদের তাদের পছন্দের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন বিকল্প প্রদান করে। অধিকন্তু, অনলাইন টিকিট বুকিং সিস্টেমের প্রবর্তনের সাথে, যাত্রীরা শারীরিক যোগাযোগ ছাড়াই তাদের টিকিট ক্রয় করতে পারে, এটি আরও সুবিধাজনক করে তোলে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থার জন্য ট্রেনে চড়ার সময় যাত্রীরাও তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত হয়। এই সমস্ত বিষয়গুলি স্থানান্তরিত হওয়ার সাথে সাথে, ভ্রমণকারীদের ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যে একটি নিরাপদ এবং আরামদায়ক ভ্রমণ উপভোগ করার উপযুক্ত সুযোগ রয়েছে।